তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
No icon

সবার আগ্রহ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনো দশ মাসের মতো। এরই মধ্যে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ নির্বাচন। বিভিন্ন ফোরামে তারা এ প্রসঙ্গে কথা বলছেন, নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন। আগামী সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক তথা গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তারা জানাচ্ছেন তাদের দেশের আগ্রহের কথা। একইভাবে সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও কূটনীতিকদের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বৈঠক করছে। প্রতিটি বৈঠকেই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বোঝার চেষ্টা করছেন, আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে, কোন দলের কৌশল কী হবে, ন্যূনতম কেমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে ইত্যাদি বিষয়।

আগামী সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বেশি সরব পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে দুদিনের সফর শেষে গতকাল ঢাকা ছেড়েছেন। সফরকালে তিনি বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধি। সাক্ষাৎকালে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে তার সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সে দিনই বিকালে ডেরেক শোলে গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে- এ বিষয়ে জনগণের আস্থা আসতে হবে। জনগণ বললেই বলা যায়, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এটিই আমাদের অবাধ, মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যা। নির্বাচন বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশার কথা আমরা সরকারকে জানাতে থাকব। সরকার থেকে বারবার অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যার অভিন্নতা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের হয়ে আমি বলতে পারব না। তবে সরকারের কাছে আমরা আমাদের অবাধ, মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে যাব। বিশ্বের যে কোনো স্থানে নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে সংলাপের বিষয়ে মত দেন মার্কিন এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

আন্তর্জাতিক  বিশ্লেষক বলেন, আমাদের দেশে বিভাজনের একটা রাজনীতি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, বিদেশিরা যদি নির্বাচন ইস্যুতে কিছু বলে, তাহলে একটা চাপ তৈরি হবে। কিন্তু ইতিহাস দেখে আমার তা মনে হয় না। আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করেন তাদের চিন্তা-ভাবনার মতোই আমাদের গণতন্ত্রও তৈরি হয়। এটা নতুন কিছু না। এবারও তাই। কিছু জিনিসের ঘাটতি আছে, এটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন বলেন, ভোট হবে, জনগণ ভোট দেবে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে- এটিই সব দেশের নিয়ম। বিদেশিদের আগ্রহ থাকতে পারে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে। তারা তাদের অবস্থানও তুলে ধরছেন। শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালই বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।