আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

সমালোচনার মুখে ভিন্ন ব্যাখ্যা ইসির

নির্বাচনী প্রচার ছাড়া সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সবাইকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া নির্দেশনার এবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই নির্দেশনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার ইসি জানাল ভোট বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আপত্তি নেই। তবে ভোটারদের ভয়ভীতি বা হুমকি দেওয়ার মতো কোনো কর্মসূচি অনুমতি দেওয়া যাবে না।এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠায় ইসি। তাতে বলা হয় নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। ওই চিঠির আলোকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখা থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে একটি পত্র পাঠানো হয়। সেখানে পুলিশ প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ইসির যে নির্দেশনা তা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হবে। নির্বাচনকালে কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয় সে ব্যাপারে পুলিশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। পুলিশের সেই সক্ষমতাও আছে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।একাধিক জেলার পুলিশ সুপার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসির নির্দেশনার আলোকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না এমন চিঠি তারা পেয়েছেন। তবে এখন নতুন নির্দেশনার আলোকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নিশ্চয়তা পেলে অনুমতি দেওয়া যাবে সে অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। এদিকে, ইসির এই নির্দেশনার পর দেশের রাজনৈতিক দল ও আইনজ্ঞদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকেই ইসির এমন চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। ইসি এমন চিঠি দিয়ে তা বন্ধ করতে পারে না।

চিঠির ব্যাখ্যা জানতে গতকাল দিনভর সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং ইসির মুখপাত্র জাহাংগীর আলমের দপ্তরে যান। কিন্তু তারা কেউই কথা বলতে রাজি হননি। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে ইসির বাধা নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিয়ে তারা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করতে পারবে।তবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। হুমকি-ধমকি দেয়, জ্বালাও-পোড়াও করে সেটা বন্ধ করতে বলা হয়েছে।কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে কেউ যদি বাধা দেয় বা প্রতিহত করে সেটা অপরাধ। নির্বাচন করতে হলে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ লাগে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ লাগে। এ রকম কোনো কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক দল যদি দিয়ে থাকে এটা করা যাবে না। সেটার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।