আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

ভোট অর্থহীন, ভোটারদের বোঝাবে বিএনপি

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ভোটারদের সামনে অর্থহীন হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি। এ জন্য দুটি কৌশল নিয়েছে দলটি। একটি কৌশল হলো নির্বাচন নিয়ে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি ভোটারদের সামনে তুলে ধরা। আরেকটি কৌশল হলো- সরকার পতনের দাবিতে রাজপথের আন্দোলনকে আরও জোরদার করা।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, প্রায় ৬৩টি দল এবার নির্বাচন বর্জন করেছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপও রয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপির প্রথম দিকে ধারণা ছিল, তফসিল হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। এ জন্য সব দিক চিন্তা করে নির্বাচনকে ভোটাদের মাঝে অর্থহীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারে বিশ^াসী দেশের সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দল যুগপৎ ধারায় রাজপথে নেমেছে। সরকার যতই নির্যাতন-নিপীড়ন চালাক, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিনে হরতাল কর্মসূচি পালনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যুগপৎ ধারায় ১১ দফায় ২৩ দিন অবরোধ এবং তিন দফায় ৪ দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা রাজনৈতিক জোট ও দল।বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর একাধিক নেতা বলেন, এসব রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার নিচে আনতে কাজ শুরু হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্দোলনরত দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন। প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নেতারা বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলের দু-একজন নেতা আদর্শিক কারণে বিরোধিতা করছেন। তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব) অলি আহমদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে যদি জামায়াতে ইসলামী এক মঞ্চে আসে, আমি তাদের স্বাগত জানাব। আমাদের শক্তি দ্বিধাবিভক্ত হলে পক্ষান্তরে আওয়ামী বাকশালীরাই উপকৃত হবে। বরং এক মঞ্চে এলে সরকার পতন অবশ্যম্ভাবী হবে।