আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

প্রতীক পেয়ে মাঠযুদ্ধ শুরু

গতকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পরপরই শুরু হয়ে গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার।শুরু হয়ে গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। গতকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই ভোটের মাঠে নেমে পড়েন প্রার্থীরা। আগামী ৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে ১৮ দিন সময় পাবেন এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী।প্রচারে যা করা যাবে, যা করা যাবে না নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম মানতে হবে। আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে- প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা ও অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা তাতে বাধা দেওয়া যাবে না; সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। সভা করতে চাইলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান ও সময় সম্পর্কে পুলিশকে জানাতে হবে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে- এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করা যাবে না। কোনো সভায় বাধাদানকারী বা গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের শরণাপন্ন হতে হবে, নিজেরা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার

সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি, অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তু, সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহ, বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে পোস্টার লাগানো যাবে না। তবে দেশের যে কোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝোলাতে বা টানানো যাবে। কোনো প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির ওপর অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না। পোস্টার দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ২৩ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি হতে হবে। পোস্টারে প্রতীক ও প্রার্থীর ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি বা প্রতীক থাকবে না। তবে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। উল্লিখিত ছবি সাধারণ ছবি হতে হবে। কোনো অনুষ্ঠান, মিছিলে নেতৃত্বদান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমার ছবি ছাপানো যাবে না। নির্বাচনী প্রতীকের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের বেশি হওয়া যাবে না।

যানবাহন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল, মশাল মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। প্রচারকাজে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহারের সুযোগও নেই। তবে দলীয় প্রধান ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচারসামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করা যাবে না। বিধিনিষেধ আছে দেয়াল লিখন নিয়েও।নির্বাচনী প্রচারে কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে করা যাবে না কোনো প্যান্ডেলও। বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো আলোকসজ্জা করতে পারবেন না প্রার্থীরা। সড়ক, জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না। একজন প্রার্থী প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারদের কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা উপহার দিতে পারবেন না প্রার্থীরা।

আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে- এমন বক্তব্য দিতে পারবেন না। প্রচার চালানো যাবে না মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে। নির্বাচন উপলক্ষে কোনো নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনো ক্ষতি করা যাবে না।মাইক ব্যবহার নিয়ে আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে এ যন্ত্রের ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।আচরণবিধিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী কাজে প্রার্থীরা সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না। অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি, স্থানীয় প্রভাব বা সরকারি ক্ষমতার দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না।