দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

একতরফা নির্বাচন ঝুঁকি বাড়াবে অর্থনীতিতে

আবার দেশে একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এতে সরকারি দলের হারার সুযোগ নেই। ঠিক নির্বাচন বলা যাবে না, এটা নাটক। দেশে এবং বহির্বিশ্বে কোথাও এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। রাজনীতি হারিয়ে যাবে। দেশে অর্থনৈতিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তাই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ : নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এই আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।এতে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বৈধতা থাকুক বা না থাকুক, আমরা একটি একপাক্ষিক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। এখানে সরকারি দল কারা হবে ও বিরোধী দল কারা হবে, তা আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে এবং তথাকথিত বিরোধী দল ইতোমধ্যে সিট ভিক্ষার রাজনীতি শুরু করেছে। দেশের তরুণ সমাজ টানা তিনটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে উপস্থিত হয়েছে। এ কারণে সার্বিক অর্থনীতিতেও হুমকির আশঙ্কা রয়েছে।

সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির ভুলের কারণে অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। অর্থনীতি খারাপ হওয়ার মূল কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা। দেশে মূলত উন্নতি হয়েছে কয়েকটি সূচকের। কিছু মানুষের আয় বেড়েছে অসমহারে। আবার কেউ কেউ কিছুই পাচ্ছে না। এই ভারসাম্যহীন উন্নয়ন কোনো কাজে আসছে না। সরকার দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ সমস্যা ব্যাংকিং, দুর্নীতি, অপচয়, প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। রপ্তানি নিয়ে সরকারের একেক সংস্থা একেক তথ্য দিচ্ছে। বিদেশ থেকে আনা ঋণের টাকার অপচয় হচ্ছে। ১০ টাকার জিনিসের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা ব্যয় করলে কীভাবে ফেরত দেব? মানুষ কী চায়? টানেল চায়, নাকি কালভার্ট চায়? বিশাল হাসপাতাল করলেন, ডাক্তার নাই।গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভাগাভাগির পর সরকারি দলের ২৪০ আসন নিশ্চিত। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করা হচ্ছে। কেউ কেউ বলতে চাচ্ছেন, জনগণ অংশগ্রহণ করলেই অংশগ্রহণমূলক। তাহলে স্বৈরশাসকদের সময়ের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন? সবকিছু ঠিক থাকলেও আগামী নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এই নির্বাচনের পর দেশের রাজনীতি হারিয়ে যাবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজনীতি আর দেশে থাকবে না। উদার গণতন্ত্রের কথা ভুলে যেতে হবে, বিশেষায়িত গণতন্ত্রে প্রবেশ করবে দেশ। একটা বিরোধী দল খোঁজার জন্য এই নির্বাচন।