দূষিত শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকাপাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদকরিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ মহান মে দিবস আজআমরা এমন বাজেট দিবো যা হবে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
No icon

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের জামায়াতে ইসলামীর থেকে প্রার্থী হয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন

ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন। তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার ফলে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির সম্ভাবনা বাড়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নির্বাচনী কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রার্থীদের নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা যায়, দেলোয়ার হোসেনের জন্ম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে দেলোয়ার হোসেন ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শাখার সেক্রেটারি (১৯৯৯-২০০০), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি (২০০৭-২০০৯) এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি (২০১২-২০১৩) ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি গেণ্ডারিয়া থানার আমির (২০১৮-২০১৯), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি (২০২০-অদ্যাবধি) এবং জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করা এবং উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে বলে দাবি করেন সমর্থকরা। তবে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি রাজনৈতিক মামলা চলমান রয়েছে, যেগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হচ্ছে।

দেলোয়ার হোসেনের রাজনৈতিক জীবনে নির্যাতনের একটি অধ্যায়ও রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি থাকাকালীন সময়ে (২০১২-২০১৩) ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং টানা ৬০ দিন রিমান্ডে রেখে নির্যাতন করে।

এই সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়। দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং তিনি নির্যাতিত নেতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা, জনসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি আগ্রহ তাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রেখেছে।