তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
No icon

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে 'আরসা' ভয়

পাঁচ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ক্সবাজারের উখিয়ার জামতলার ১৫ নম্বর ক্যাম্পে থাকেন রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) আবদুল বাসের। ক্যাম্পে বাসেরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আরেক মাঝি আহমদ রশিদ। ৭২ ঘণ্টা আগে শনিবার খুন হন রশিদ। এর পর থেকে ভয়ে আছেন বাসের। তবে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন করে দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকি। এর পর থেকে বাসেরের ঘরবন্দি জীবন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন ভয়ের রাজ্য। বিশেষ করে বিভিন্ন ক্যাম্পের এক হাজার মাঝি তাঁদের জীবন নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়। একের পর এক খুনোখুনিতে অনেকে চলে গেছেন আত্মগোপনে।রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, মিয়ানমারভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এখন আরও বেপরোয়া। তারা জড়াচ্ছে একের পর এক হত্যায়। নতুন করে মিলছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গ্রেনেড। তুমব্রুর শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের গোপন আস্তানা। হত্যার ঘটনার পরই শূন্যরেখার ক্যাম্পে তারা পালিয়ে যায়। এ কারণে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।এদিকে গত শুক্রবার উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ থেকে গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় মোহাম্মদ নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর বলেন, গ্রেনেডটি দেশের বাইরের মনে হচ্ছে। তবে এতে কোনো দেশের নাম লেখা নেই। গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেনেডটি কারা কেন এনেছে, তা নিয়ে চলছে তদন্ত। হঠাৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ চলছে। আরও অনেক বিষয় আছে। তবে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা তৎপর।

গত এক বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০টি দেশীয় অস্ত্র, দুটি বিদেশি পিস্তল, কয়েকশ রাউন্ড গুলি, ১৪ ভরি স্বর্ণ, ১৭ লাখ ইয়াবা, জাল নোটসহ অবৈধ অনেক কিছু জব্দ করা হয়। তবে গত শুক্রবার উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ এ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মোহাম্মদ নবীর বাসা থেকে একটি গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে ক্যাম্পে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেনেডটি আসলে আহত নবীর ওপরে ছুড়ে মারা হয়েছে; নাকি তিনি নিজেই এটি এনে বাড়িতে রেখেছেন- এখনও নিশ্চিত নয়। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বালুখালী, ওলাকালং ও শূন্যরেখা দিয়েও ক্যাম্পে অস্ত্রসহ অবৈধ মালপত্র ঢুকছে।জানা গেছে, শূন্যরেখাকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্যাম্পে অভিযান জোরদার করলেও অস্ত্রধারীরা শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়। পরে অভিযান থেমে গেলে আবার ক্যাম্পে ফেরে। রোহিঙ্গা নেতারা জানান, আরসা গত বছর ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের একটি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ছয় রোহিঙ্গাকে হত্যা করে।৮-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, শিবিরগুলোতে অপরাধীদের নির্মূল করতে অভিযান চলছে। ক্যাম্পে টহল জোরদার করা হয়েছে।