ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

নৌ ধর্মঘটে যাত্রীরা বড় বিপদে

দশ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘট গত শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশের যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। জলপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েকটি নৌবন্দরে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রেখে শ্রমিকরা ধর্মঘটে যাওয়ায় আটকা পড়েছে লাখ লাখ টন পণ্য।নৌযান শ্রমিকদের নূ্যনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশসহ ১০ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট ডেকেছে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ এবং আটটি নৌযান সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।একই দাবিতে কার্গো বাল্ক্কহেড নৌ শ্রমিক ঐক্যজোটও গতকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে অবিরাম কর্মবিরতি শুরু করেছে।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সমকালকে বলেন, ধর্মঘট শুরুর আগে গত শুক্রবার শ্রম দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নৌযান শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা। সে সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী তাঁদের দাবির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। পরবর্তী আলোচনায় শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্য থেকে বিশেষ তিনটি দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এই তিন দাবি হচ্ছে- সর্বনিম্ন মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ বাড়ানো এবং ভারতগামী নৌ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ল্যান্ডিং পাসের অনুমোদন। এসব দাবি মানা না হলে ধর্মঘট চলতেই থাকবে। এমনকি ধর্মঘট আরও কঠিন রূপ নেবে।নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম জানান, তাঁরা অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না। বারবার আশ্বাস দিলেও কোনোটিরই বাস্তবায়ন নেই। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।এদিকে, নৌ শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন নৌযান মালিকরা। এই ধর্মঘটকে অযৌক্তিক বলছেন তাঁরা।