বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলব্রিটিশ পার্লামেন্টে আবারও আলোচনায় বাংলাদেশ পরিস্থিতিদেশের সব দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপিরতিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতেকোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতি খোলা চিঠি মুক্তিযোদ্ধাদের
No icon

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের শরিকদের বৈঠক আজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন প্রশ্নে জট খুলতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে। বেশ কয়েক দিন অপেক্ষার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে জোট শরিকরা। আজ সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আসন সমঝোতার বিষয়ে ফয়সালা হবে বলে প্রত্যাশা এসব দলের।এদিকে আসন সমঝোতার লক্ষ্যে ১৪ দলের শরিকরা এরই মধ্যে স্ব স্ব দলের সংক্ষিপ্ত তালিকা জমা দিয়েছে। লিখিত অথবা মৌখিকভাবে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর কাছে এসব তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৪৪টি আসনে ছাড় চাইছে শরিক দল। তারা ২১টি আসনে সমঝোতার জন্য দর কষাকষি করবে বলে জানা গেছে। আগামী নির্বাচনে জোটকে জয়ী করার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত তারা।শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে সন্ধ্যা ৬টায়। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য শরিক দলগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির নীতিনির্ধারক কয়েক নেতা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে মূলত আগামী নির্বাচনে জোটগত আসন বণ্টন বিষয়ে আলোচনা হবে। সমঝোতা হলে আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকে লড়বেন শরিক দলের প্রার্থীরা। তবে সমঝোতার বাইরে অন্য অনেক আসনে দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকেও নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে দলগুলোর। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন থাকা প্রতিটি শরিক দল কমবেশি আসনে দলীয় প্রার্থী দিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। এ ছাড়া আজকের বৈঠকে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে শরিকদের প্রতি চলে আসা অবহেলা ও অবমূল্যায়ন -এর কথাও তুলে ধরবেন বলে জানান শরিক দলের কয়েক নেতা।

তারা আরও বলছেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনেই ১৪ দলগত অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা এবং ছাড় দেওয়া আসনগুলো ফাঁকা রেখে দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবারই প্রথম শরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ২৯৮ আসনে একক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি শরিকদের বর্তমান এমপিদের আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন।আবার নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার নামে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পাইকারি হারে মাঠে নামানো হয়েছে। ফলে নির্বাচনের মাঠে এক ধরনের হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাশাপাশি ১৪ দলগত নির্বাচন নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্যই জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।এর আগে আসন সমঝোতার প্রশ্নে আলোচনার জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিল ১৪ দলের শরিকরা। কিন্তু তৃণমূল বিএনপি এবং ছোট ছোট ইসলামী দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেলেও ১৪ দলকে ডাকা হয়নি। অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে দিয়ে ফোন করে শরিক দলগুলোর নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানানো হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি হয়নি।