সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবে না পুলিশ : লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)মাগুরায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষজন্মহার বৃদ্ধিতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’বিএনপিকে জাতীয় কনভেনশন ডাকার প্রস্তাব
No icon

পাঁচ জেলার ৪০% এলাকায় পানির তীব্র সংকট

পানির মতো সহজ কথাটি বাংলাদেশে সুপেয় পানির ক্ষেত্রে খাটছে না। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলসহ অর্ধেক এলাকায় গত কয়েক বছর মিলছে না নিরাপদ পানি। বছর পাঁচেক আগেও যেসব এলাকায় পানি ছিল সহজলভ্য, এখন সেখানেই তীব্র সংকট।শুধু বরেন্দ্র অঞ্চলেরই এক-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনার মতো অসংখ্য নদনদীবেষ্টিত এলাকায়ও পানির সংকট তীব্র। রাজবাড়ীর মতো পদ্মা তীরের জেলায় শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর-খাল; পানি উঠছে না নলকূপে। হাওরেও একই সংকট।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিতে ব্যাপকভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে উত্তোলনের কারণে ক্রমাগত নামছে স্তর। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমে গেছে। ফলে গ্রামের মানুষকেও এখন তৃষ্ণা মেটাতে টাকা খরচ করতে হচ্ছে। লাগামহীন ভূগর্ভস্থ পানি তোলা বন্ধ না হলে সামনে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের।

এ অবস্থায় আজ শনিবার দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পালন করবে বিশ্ব পানি দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য মাটির নিচের পানি অশেষ নয়, আপনার সন্তানের স্বার্থে পানি ব্যবহারে যত্নশীল হোন । দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় রাজধানীর পানি ভবনে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করবেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।অবৈধ সেচ পাম্পে সর্বনাশ নোয়াখালীর উপকূলীয় সুবর্ণচর রবিশস্যের অন্যতম ভান্ডার। গত কয়েক বছরে রবিশস্য ছেড়ে বোরো ধান চাষ করছেন কৃষকরা। শুষ্ক মৌসুমে ধান আবাদই এখন সুবর্ণচরের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। খাল-বিল-ডোবায় ভরপুর মিঠাপানির রাজ্যে এখন হাহাকার। ধান চাষে ভূগর্ভের পানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে বসতঘরের গভীর নলকূপে উঠছে না পানি। পরিকল্পনা ও অনুমোদন ছাড়াই চাষিরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ ফুট গভীর নলকূপ বসিয়ে সেচকাজে ব্যবহার করছেন। এর প্রভাবে উপজেলাজুড়ে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, সারাদেশে ১০ লাখের বেশি অবৈধ সেচ পাম্প রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য বলছে, সুবর্ণচরে চাষাবাদের জন্য ২৪৫টি গভীর নলকূপের (সেচ পাম্প) অনুমোদন রয়েছে। চাষিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিন হাজারের বেশি সেচ পাম্প বসিয়েছেন। একটি গভীর নলকূপে ভূগর্ভ থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১ হাজার ৮০০ কিউসেক পানি তোলা হয়।নাটোরে সেচকাজে সচল প্রায় ৪০ হাজার গভীর-অগভীর নলকূপ, যার ৩৩ হাজারই অবৈধ। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পানি তোলায় নামছে স্তর।জরিপ ছাড়াই বাণিজ্যিকভাবে গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপনের প্রতিযোগিতা চলছে নওগাঁর বরেন্দ্র মাঠগুলোতে। ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনে দ্রুত নামছে স্তর। বরেন্দ্র জনপদে গত এক দশকে অন্তত ১৫ ফুট নেমেছে পানির স্তর।