বৃষ্টির পর আগামী সপ্তাহে আবার তাপপ্রবাহের শঙ্কানারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আজদেশের ৮ বিভাগে হতে পারে টানা বৃষ্টিবিশ্ব কাঁপছে বিক্ষোভেআপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে আজ থেকে
No icon

চাপ সামলে এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনীতি

বাঙালি বীরের জাতি। বিরূপ পরিস্থিতিতে টিকে থাকার ক্ষমতা তার অসীম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই দেখে এ ক্ষমতার আঁচ পাওয়া যায়। এ দেশের অর্থনীতিরও একটি অন্তর্নিহিত শক্তি তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে পুরো বিশ্ব যখন স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্যোগের মধ্যে, তখন অর্থনীতির সেই শক্তি কাজে লাগছে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর যেসব আঘাত স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, অ যায় এবং বড় অঙ্কের মানুষ অভাবে পড়ে। এ অবস্থায় সরকার এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে, যার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এর সঙ্গে রাজস্ব ও আর্থিক নীতির মাধ্যমে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানো হয়। এর সঙ্গে কৃষক, ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা টিকে থাকার লড়াই শুরু করেন। সাধারণ ছুটি ছিল প্রায় দুই মাস, যার মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিছুটা চলে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর অর্থনীতিতে মোটামুটি গতি ফিরে আসে। জুন থেকেই অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে স্বস্তি দেখা যায়।
করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনও শেষ হয়নি। ফলে এর প্রভাবে দেশের এবং বিশ্বের অর্থনীতি ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তার ওপর শক্ত অনুমান করা কঠিন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব তথ্য-উপাত্ত এবং পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অনেকের চেয়ে এগিয়ে বলা যায়। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বড় পূর্বাভাস রয়েছে আইএমএফের। এ মাসে প্রকাশিত সংস্থাটির ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে ২২টি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার বাড়বে। বাকি দেশগুলোর অর্থনীতি বাড়বে না, সংকোচন হবে। যাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হবে তার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির বিচারে শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে থাকবে। অবশ্য বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে চলতি পঞ্জিকাবর্ষ ধরে পূর্বাভাস দিলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা জুলাই-জুন অর্থবছরভিত্তিক। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের পূর্বাভাস বলতে গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত বুঝতে হবে। আইএমএফ বলেছে, এ সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে হবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করেছে।