সংঘাতের মধ্যেও মিয়ানমার থেকে আসছে গরু-মহিষআজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসরকারি ২৮ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চলছে লোকসানেময়মনসিংহের ৩ উপজেলায় ভোট শুরু, নেই নারী ভোটার
No icon

তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্যে ভর করে এগোচ্ছে রফতানি

গত বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব শুরু হলে বিশ্বব্যাপী ধীরে ধীরে কমতে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। ওই বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলে অবস্থা আরও জটিল হয়। সরকার দীর্ঘ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে স্থবিরতা নেমে আসে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। বিশেষ করে রফতানির প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্প পড়ে নিদারুণ বিপদে। হাতছাড়া হতে থাকে ক্রয়াদেশ। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগোতে থাকেন পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি টালমাটাল, তখনও ভরসা যোগাচ্ছে সেই পোশাকশিল্প। এর সঙ্গে আছে পাটজাত পণ্য। এ দুই শিল্পের পণ্যের ওপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের রফতানিখাত।তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ বলছে, গত বছরের মার্চ থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে হাতছাড়া হয় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্রয়াদেশ। নতুন অর্থবছরের রফতানি আয় গত অর্থবছরের তুলনায় পিছিয়ে যেতে শুরু করে">পিছিয়ে যেতে শুরু করে। তবে ওই বছরের শেষান্তে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রফতানিখাতও উঠে দাঁড়ায়। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চের অর্থাৎ অর্থবছরের নবম মাসের হিসাব মতে,ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে">ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের পোশাক রফতানি।

লকডাউন চললেও কলকারখানাগুলো খোলা আছে। এর ফলে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে রফতানি আয়ে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কমরফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বিগত অর্থবছরের নয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই নয় মাসে সামান্য পিছিয়ে ছিল দেশের রফতানি। তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, সাইকেল, পরচুলাসহ বেশকিছু পণ্য ধারাবাহিকভাবে রফতানিতে ভালো করছে। এর মধ্যে প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য।চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত (৯ মাসে) পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে। আর গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে থেকে ২৭৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়।