দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

কৃষিতে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে যান্ত্রিকীকরণ

করোনা সংকটে কৃষিই সম্ভাবনার পথ দেখাচ্ছে। এ কারণে সরকার এ খাতের ওপর ভরসা রাখতে চায়। এর ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কৃষিকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি খাতের পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ২৯ হাজার ৯৮৩ কোট টাকা। আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫ হাজার ৪৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে মোট বরাদ্দ কিছুটা বাড়বে। অধিক খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বেশি। আর কৃষি খাতে ভর্ভুকি গতবারের মতোই ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থাকতে পারে অথবা ৫০০ কোটি টাকা বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। কৃষি খাতে কর অব্যাহতি ও ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের।

জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যার পুরোটা খরচ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। হাওরাঞ্চলে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৩০২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় ৫১,৩০০টি কৃষিযন্ত্র বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রকল্প-সংশ্নিষ্টরা জানান, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে বেশ খানিকটা দেরি হয়েছে। গত এপ্রিলে কৃষিযন্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে এবং মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১৬৬৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ২১টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও ৪৭০টি রিপার বিতরণ করা হয়, যা চলতি বছরে বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম। আগামী অর্থবছরে বিতরণ বাড়ানো হবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে ৭০ শতাংশের ওপর ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যান্ত্রিকীকরণের জন্য হারভেস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের কৃষকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকার গবেষণার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। সনাতন পদ্ধতি ছেড়ে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়লে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সময় ও খরচ কম লাগবে।