আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

এলপিজির নির্ধারিত দাম কাগজেই, বাজারে নেই

প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দেয় জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু বাজারে সেই দামে এলপিজি (তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস) মিলছে না। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর নতুন দর ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব নেই। স্থানভেদে ২০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। দু-একটি জায়গায় ন্যায্য দামে মিলছে এলপিজি।চলতি মাসের জন্য এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের নির্ধারিত দর ১২২৮ টাকা। তবে গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১৩৫০ টাকায়ও কিনছে হচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে যে দামে কেনা হয়, তার সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হয় না। ব্যবসায় টিকে থাকতেই দাম বেশি নিতে হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়েই দাম কমাতে হবে। না হলে নির্ধারিত দামে গ্যাস বিক্রি সম্ভব নয়। দাম বেশির পাশাপাশি ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।বিইআরসি বলছে, দেশজুড়ে বাজার তদারকির মতো জনবল তাদের নেই। তাই আইন নিয়ণন্ত্রকারী সংস্থা ও প্রশাসনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তারা অভিযান চালাতে পারেন।

আদালতের নির্দেশনায় ১২ জানুয়ারি গণশুনানি করে ১২ এপ্রিল এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। এরপর প্রতি মাসেই আমদানি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে এলপিজির দাম সমন্বয় করে আসছে কমিশন। লোকসানের অজুহাতে বিক্রেতারা নিজেদের মতো করেই এলপি গ্যাস বিক্রি করে যাচ্ছিল। পরে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে সেপ্টেম্বরে আবার গণশুনানি হয়। এরপর অক্টোবরে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে কমিশন, যা বাজারের প্রচলিত দরের চেয়ে বেশি হয়। এতে ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়ে। সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর চলতি ডিসেম্বর মাসের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজি ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করে বিইআরসি। ফলে বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ১২ কেজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এক হাজার ৩১৩ টাকা থেকে কমে হয় ১ হাজার ২২৮ টাকা। এই দর ৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। দাম কার্যকরের দিনই (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা জাহিদ দুটি খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখেন ১২ কেজির সিলিন্ডার এক দোকানে চায় ১২২০ টাকা আরেক দোকানে ১২৫০ টাকা। গত কয়েক দিন ঢাকার মতিঝিল, মৌচাক, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১২ কেজির সিলিন্ডার এলাকাভেদে ১২৩০ থেকে ১২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।যদিও চলতি মাসের দাম ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেছিলেন, এখন আমাদের নির্ধারিত দামে দেশের সব জায়গায় এলপিজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কোথাও থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহী  বলেন, তারা জেলা প্রশাসক, পুলিশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্নিষ্টদের বাজার তদারকির জন্য চিঠি দিয়েছেন। কারণ পুরো দেশ দেখার মতো জনবল কমিশনের নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তারা সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।