দূষিত শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকাপাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদকরিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ মহান মে দিবস আজআমরা এমন বাজেট দিবো যা হবে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
No icon

রপ্তানিবান্ধব বৈদেশিক বিনিয়োগ ছাড়া রপ্তানি বহুমুখীকরণ হবে না

বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আব্দুর রহিম খান বলেছেন, রাজস্ব আদায় এবং রপ্তানিবান্ধব সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ছাড়া রপ্তানি বহুমুখীকরণ হবে না। পাশাপাশি রপ্তানি সহজীকরণ এবং লজিস্টিকস পলিসি করা গেলে বাণিজ্য খরচ কমবে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপটঃ ব্যাক্তিখাতের অবস্থা শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।দ্বি-বার্ষিক সেমিনারটি সঞ্চালনা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের (পিইবি) প্রধান নির্বাহী ড. এম মাশরুর রিয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) ড. সায়েরা ইউনুস।

মো. আব্দুর রহিম খান বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কিন্তু আমাদের রাজস্ব আদায় মাত্র ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি বাড়াতে হবে। কিন্তু কীভাবে হবে? কর অটোমেশন হচ্ছে না, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য খরচ কমাতে হবে, যাতে বিশ্ববাজারে আরও শক্ত প্রতিযোগী হওয়া যায়।যখন রপ্তানিতে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৬৫ শতাংশ ছিল তখন থেকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের কথা বলা হচ্ছে। আজ রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের অবদান ৮৫ শতাংশ। কিন্তু বহুমুখীকরণ আজও হয়নি। উলটো লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রপ্তানি কমে গেছে। এখনই আমরা পারব, নয়তো কখনোই পারব না।মূল প্রবন্ধে তাসকিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছে ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যদিকে আমাদের নিট বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ৬ বছরে সর্বনিম্ন, যা প্রায় ২৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে। আমাদের রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে ব্যস্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসলেও সামগ্রিকভাবে এখনো অনেকটা সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ব্যক্তি খাতের কনফিডেন্স ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই ঋণের প্রবাহ ডাবল ডিজিটে আনতে হবে।

এসময় ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, ২০২২ থেকে যে ব্যস্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ চলছে তার থেকে এখনো আমরা উঠে আসতে পারিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নেতৃত্ব কিছু ভাল কাজ করছে, যার ফলে আমাদের রিজার্ভের পতন ঠেকানো গেছে। এই বছরের মধ্যে রিজার্ভে আরও ৫-৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়াতে না পারলে আমাদের উৎপাদন কমে যাবে। যদি জ্বালানি সমস্যা সমাধান এবং শিল্প কারখানায় অস্থিতিশীলতা বন্ধ করা যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে। এছাড়া দাতা সংস্থা থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে।