দূষিত শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকাপাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদকরিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ মহান মে দিবস আজআমরা এমন বাজেট দিবো যা হবে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
No icon

নতুন টাকা ছাপাতে এবার খরচ হচ্ছে তিন গুণ

আমাদের দেশে কাগুজে নোটের প্রচলন বেশি। এসব নোটের স্থায়িত্ব সাধারণত ছয় থেকে আট মাস। এই সময়ের মধ্যেই অধিকাংশ নোট ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। কয়েনে খরচ বেশি হলেও দীর্ঘস্থায়ী। কয়েক বছর আগে পলিমার নোট ছেপেও খুব ফায়দা হয়নি। পুরোনো নোট তুলে নিয়ে বিনষ্ট করে নতুন নোট ছাপতে বছরে সরকারের খরচ হয় সাড়ে চার থেকে পাঁচশ কোটি টাকা। এবার সেই খরচ ঠেকতে পারে দেড় হাজার কোটিতে।বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ছাপানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

কখন নতুন নোট ছাপায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক?

মূলত ব্যবহারের পদ্ধতিগত কারণে ছাপানো নতুন কাগজের নোটের স্থায়িত্ব কমছে। বিপরীতে খরচ বেশি পড়লেও ধাতব কয়েনের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময় করে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব নোটের বিপরীতে পরবর্তীসময়ে ইস্যু করা হয় নতুন নোট। চাহিদা অনুযায়ী প্রতি বছর শুধু নতুন নোট ছাপাতে সরকারের বিপুল টাকা খরচ হয়। এই খরচের লাগাম টানতে ক্যাশলেস কিউআর (কুইক রেসপন্স) লেনদেনে ঝুঁকছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যে কারণে এবার খরচ বাড়ছে

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন টাকার নকশায় পরিবর্তন আনছে সরকার। সব ধরনের নোটেই নকশা পরিবর্তন হবে। এর আগে ডিজাইন অক্ষুণ্ন রেখে শুধু প্রিন্ট করা হতো। এবার নতুন নোটে থাকবে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি। নতুন ডিজাইনের জন্য রয়েছে পারিশ্রমিক। আর আগের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে নোটের পরিমাণ। কারণ, পুরোনো ডিজাইনের নোট ধীরে ধীরে বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর আগে টাকা ছাপতে বছরে পাঁচশ কোটি টাকার মতো খরচ হলেও এবার খরচ পড়বে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।তবে ঠিক কত টাকার নতুন নোট ছাপা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীলরা। নতুন ডিজাইনসহ নোট বাজারে আনতে ঈদ সামনে রেখে এবার কোনো নতুন নোট বাজারে ছাড়েনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ছাপানো নোট এখন আর আগের মতো বেশিদিন টিকছে না। মাত্র ছয় মাসেই নষ্ট হচ্ছে, যে নোটগুলো (ছেঁড়া-ফাটা) বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষণ করার পর তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। পুড়িয়ে ফেলা ব্যবহার অযোগ্য নোট ও বাজার সার্কুলেশন বা অর্থের প্রবাহের বিষয়টি দেখেই পরে নতুন নোট ছাপানো হয়। এক্ষেত্রেও মার্কেট টুলস ব্যবহার করে পর্যালোচনা করে দেখা হয়। সেখানে উঠে আসে কী পরিমাণ নতুন টাকার দরকার পড়বে। সেভাবেই ছাপিয়ে বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে ছাড়া হয়।বিভাগটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এবার সব ধরনের নোটে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পুরো জাতির দাবি নতুন নকশা। সে আলোকে নোট ছাপানো হচ্ছে। খরচ এখন ফ্যাক্টর নয়। তবে কয়েনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তিন গুণ পর্যন্ত খরচ বাড়বে এবার।