যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

মাদরাসা পাঠ্যসূচিতে ইসলামবিরোধী বিষয় যুক্ত করায় ছাত্রশিবিরের প্রতিবাদ

মাদরাসা পাঠ্যসূচিতে  ইসলামবিরোধী বিভিন্ন "বিতর্কিত" বিষয়  যুক্ত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রাসূল সা. যে পরিপূর্ণ দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা মানুষের কাছে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার প্রথম কথাই ছিল ইকরা বা পড়ো অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন করো। পবিত্র কুরআন থেকে মুসলিম উম্মাহ জ্ঞান অর্জন করে অন্যদেরও আলোকিত করবে—এটাই স্বাভাবিক। যেখানে একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কুরআন-হাদিসের ওপর ভিত্তি করেই হওয়ার দাবি রাখে, সেখানে বাস্তবতা হয়েছে আজ তার ঠিক উল্টো। চলমান শিক্ষানীতিতে ইসলামী নৈতিকতা শিক্ষার যে সামান্য সুযোগটুকু ছিল তা-ও নানা অপকৌশলে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

সর্বশেষ ইসলামি ভাবধারায় পরিচালিত মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাতেও অনৈতিকতা, ঈমান ও আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়বস্তুসহ নানা উপাদান যোগ করা হয়েছে। বিশেষ করে ডারউইনের বিতর্কিত মতবাদ, রথযাত্রার মতো অন্য ধর্মের বিভিন্ন বিষয়, হাজার হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী বিভিন্ন বিষয়বস্তুসহ নগ্ন ও অশ্লীল ছবি যুক্ত করা হয়েছে। মাদরাসা বা দ্বীনি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞদের অন্ধকারে রেখে এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক মাস মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এতে কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি; বরং সেই বিতর্কিত সিলেবাসেই আজ থেকে মাদরাসাগুলোতে পাঠদান করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়!”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষের ঘুম ভাঙে আজানের ধ্বনি শুনে। কিন্তু মুসলমানের সন্তানরা যেন আজানের ধ্বনি শুনতে না পায় তারই বন্দোবস্ত করা হয়েছে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করার মধ্য দিয়ে। এ সূক্ষ্ম বিষয়টি সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। একজন ঈমানদার মুসলমান কোনোভাবেই এটা মানতে পারে না। নতুন প্রজন্মকে শুরুতেই নীতিহীন ও নিস্তেজ করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এদেশের মুসলমানরা অদূর ভবিষ্যতে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।”শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, “সম্প্রতি সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে অন্য একটি ধর্মের উপাস্য দুর্গার ছবি দিয়ে একদিকে যেমন এদেশের মুসলমানদের ঈমানি চেতনার ওপর আঘাত করা হয়েছে, অন্যদিকে ইসলাম ও সনাতন ধর্ম পালনকারী মানুষের মধ্যে সূক্ষ্মভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে। 

এ থেকে প্রমাণিত হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে উসকে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য জুলুমবাজ সরকার ও তার দোসররা এ কাজ করে চলেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এনসিটিবির পক্ষ থেকে ছাপাখানার ভুল বলে দাবি করা করা হয়। শুধু ভুল বললে তা যথেষ্ট নয়, সাথে এর পেছনে কারা কারা জড়িত এবং কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।  অবিলম্বে ইসলামবিরোধী এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ইসলামপ্রিয় সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। ছাত্রশিবির দেশ ও ইসলামবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সর্বদা প্রস্তুত আছে, ইনশাআল্লাহ।”