গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৭৫ জন নিহতফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে জাতিসংঘরাজনৈতিক প্রভাব কমাতে ক্ষমতা পাচ্ছে এনটিআরসিএআফগানিস্তানে বাড়ছে লাশের মিছিলনুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন
No icon

ঢাবি নিয়ে যে ১৪ দাবি তুলে ধরলেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে ১৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের মতামত চেয়েছেন।

প্রস্তাবগুলো হলো-

ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ছাত্র সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্যোগ নিয়ে মামলা দায়ের করতে হবে।

গত পনেরো বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত মেধার ভিত্তিতে সিট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমের সংখ্যা ও সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

বর্তমান সিট সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারপূর্বক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে পুনরায় শিক্ষার্থীদের সিট প্রদান করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় আইন করে গেস্ট-গণরুম প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনের ভিত্তিতে স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও হলের রিডিং রুম আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ব্যতীত গণপরিবহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন ও হলে হলে ডিসপেনসারি স্থাপন করতে হবে।

রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সেবার মান আধুনিকীকরণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে আধুনিক স্থাপত্যের আলোকে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।