আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

হজযাত্রীর কোটা, সৌদি পর্বের খরচ ও ভিসা নিয়ে জটিলতা

সৌদি সরকার চলতি বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একটি হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন ২৫০ জন হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের সৌদি আরব পর্বের খরচের পুরো টাকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সৌদি পর্বের খরচের পুরো টাকা একসঙ্গে জমা দিতে পারেনি কোনো হজ এজেন্সি। আবার যে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, সে টাকাও বাড়ি ভাড়ার জন্য যথাসময়ে হজ এজেন্সির আইবিএএন হিসাবে জমা হয়নি।পাশাপাশি বেশির ভাগ হজ এজেন্সি যেমন ২৫০ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারেনি, একইভাবে এবার মোনাজ্জেম ভিসাও পাওয়া যায়নি। ফলে এবারের হজযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের সংকট। এ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরোধ। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) গত মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছে।এবারই প্রথম হজযাত্রীদের সৌদি পর্বের খরচের পুরো টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি আরবে পাঠাচ্ছে। এরপর ওই টাকা সৌদি সরকার সৌদি রিয়ালে প্রতিটি এজেন্সির আইবিএএন হিসাবে স্থানান্তর করবে। তবে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। চলতি বছরের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

একটি প্যাকেজে (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। অন্য প্যাকেজে (বিশেষ) খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা। এর মধ্যে সৌদি আরব পর্বে বাড়িভাড়া, পরিবহন, মুয়াল্লিম ফি, খাওয়া ও অন্যান্য চার্জ বাবদ প্রথম প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৭ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজে এটি চার লাখ ৭৯ হাজার ৭৪০ টাকা। সৌদি পর্বের খরচের এই পুরো টাকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চেয়েছে সৌদি সরকার।চলতি বছর ২৫৯টি হজ এজেন্সি হজযাত্রী পাঠাতে সৌদি ই-হজ সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার ৩৫টি এজেন্সিকে চিঠি দিয়ে বলেছে, সৌদি পর্বের খরচ নির্বাহ করতে এসব এজেন্সি যে পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছে তাতে সৌদি সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করা যাচ্ছে না। এতে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন অনিশ্চত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একইভাবে ৯৪টি এজেন্সিকে গত ৩ এপ্রিল চিঠি দেওয়া হয়েছে।এদিকে গত ১০ মার্চ হাবের পক্ষ থেকে ধর্মমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ঢাকায় হজ এজেন্সিগুলো টাকা জমা করেছে। সে টাকা সৌদি রিয়ালে গত ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠানোর কথা। কিন্তু সৌদি আরবের হজ এজেন্সির আইবিএএন হিসাবে কোনো রিয়াল জমা হয়নি। এতে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িভাড়া ও মুয়াল্লিম নির্বাচন করতে না পারলে হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

জমা হয়নি সৌদি পর্বের খরচের পুরো টাকা

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের হজে সৌদি পর্বের খরচের জন্য প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা পাঠানো প্রয়োজন। কিন্তু অর্ধেকের বেশি টাকা এখনো জমা হয়নি। ফলে যেসব এজেন্সি এখনো টাকা জমা করতে পারেনি তাদের ২১ এপ্রিলের মধ্যে আবশ্যিকভাবে টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, সৌদি পর্বের খরচের টাকা জমা দিতে এজেন্সিগুলোর সঙ্গে ছয়বার বৈঠক করেছি, বহুবার চিঠিও দিয়েছি। এরপরও পুরো টাকা জমা দেওয়া হয়নি।