তৃতীয় কিস্তিতে বাড়তি ঋণ দেবে আইএমএফজেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইটসংঘাতের মধ্যেও মিয়ানমার থেকে আসছে গরু-মহিষআজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
No icon

সেপ্টেম্বরে বন্যা, অক্টোবর-নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা

সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আরেকটি বন্যা হতে পারে এবং অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা রয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ তথ্য জানান।প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যা পুনর্বাসনে রাষ্ট্রকে যেন আরও বন্যা সহনীয় করতে পারি সেজন্য আরও ১১০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি ঘূর্ণিঘড়আশ্রয় কেন্দ্র এক বছরের মধ্যে করা হবে। আশা করি আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি বন্যা সহনীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। বন্যার সময় দুর্গতদের দ্রুত সরিয়ে আনতে ৬০টি উদ্ধার বোট নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে এসব পাওয়া যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এবার চার দফার বন্যায় সারা দেশে ৫ হাজার ৯৭২ কোটি ৭৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, শস্যখেত, বীজতলা, মৎস খামার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সড়ক, ব্রীজ, বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত ৩৩ জেলাসহ মোট ৪০ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে দেশের ৫০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়, আর এবার প্লাবিত হয়েছিল ৩০ ভাগ এলাকা। এবারের বন্যা ৪৬ দিন স্থায়ী ছিল। ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়গুলো ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নেবে। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়গুলো কর্মপরিকল্পনা পেশ করেছে, সেটা নিয়ে পুনর্বাসন পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ দিয়ে যেখানে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সেখানে তা খরচ করতে বলেছেন। আরও অর্থের প্রয়োজন হলে তিনি বরাদ্দ দেবেন। তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন ঘরবাড়ির ওপর। কারণ পানি নেমে গেছে, মানুষ বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।ডা. এনামুর জানান, এবার ২৬ জুন প্রথম দফায় বন্যা শুরু হয়। ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফা, ১৯ জুলাই তৃতীয় দফা এবং ১৮ আগস্ট উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়।ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো জরুরিভিত্তিতে মেরামত করবে। সড়ক বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সচল করবে। কৃষি পুনর্বাসনের জন্য বীজতলা তৈরি, চারা, সার ও বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করবে কৃষি মন্ত্রণালয়।