পুরোনো ১১ সেতুতে পন্টেজ চার্জ আরোপ করায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের ভাড়া আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে বৃদ্ধি পাবে। সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়বে। গতকাল মঙ্গলবার রেলওয়ে থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আগে শুধু নতুন নির্মিত ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতুতে পন্টেজ চার্জ ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হতো। এ পদ্ধতিতে প্রতি কিলোমিটার ১৭ কিলোমিটার ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হতো। তবে নতুন নিয়মে সারাদেশে ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের নতুন-পুরোনো সব সেতুতে পন্টেজ চার্জ আরোপ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার হিসেবে গণ্য করা হবে।এ নিয়মের ফলে রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৩৮১ কিলোমিটার, যা আগে ছিল ৩৪৬ কিলোমিটার। যদিও রেলপথে দুই শহরের প্রকৃত দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার। সেতুর দৈর্ঘ্যকে ২৫ দিয়ে গুণ করার কারণে রেলওয়ের হিসাবে দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার বেশি।পদ্মা সেতু এবং যমুনা রেলসেতুতে পন্টেজ চার্জ আরোপের কারণে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের ভাড়া আগেই বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেছেন, নতুন সেতু নির্মাণ এবং পুরোনো সেতুতে রক্ষণাবেক্ষণ বিনিয়োগ তুলতে পন্টেজ চার্জ আরোপ ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। রেলে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ৯ বছরে পূর্বাঞ্চলে অনেকগুলো নতুন সেতু হয়েছে। কিন্তু ভাড়া বাড়েনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন নিয়মে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মেইল ট্রেনে ১৫ টাকা এবং কমিউটারে ২০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। আন্তঃনগরের শোভন চেয়ারে ৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণিতে ৬৪, এসিতে ৮০, কেবিনে ৯৮ এবং এসি কেবিনে ১৪৩ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। একই রুটের বিরতিহীন ট্রেনে শোভন চেয়ারে ৪৯, প্রথম শ্রেণিতে ৬৯, এসিতে ৮৮, কেবিনে ১০৮ টাকা এবং এসি কেবিনে ১৫৯ টাকা বাড়ছে।ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৫৮৬ কিলোমিটার। যদিও প্রকৃত দূরত্ব ৪৭৭ কিলোমিটার। এ রুটের শোভন চেয়ারে ৬০ টাকা, প্রথম শ্রেণিতে ৯২, এসিতে ১১৫, কেবিনে ১৩৮ এবং এসি কেবিনে ২০৭ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটের বিরতিহীন ট্রেনের এসি কেবিনের ভাড়া দুই হাজার ৪৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৬৪৪ টাকা হবে।ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-জামালপুর, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের ট্রেনের ভাড়াও বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা-সিলেট রুটে এসি কেবিনের ভাড়া ১২৭ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।