
বিগত সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেফতার বর্তমান ও সাবেক ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গুমের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ আসামিকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জামিনের আবেদন করতে ওকালত নামায় সই করেছেন সেনা অফিসাররা। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, তারা আপাতত কারা হেফাজতে থাকবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন এটা তাদের ব্যাপার। এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সোয়া ৮টায়।
দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে একটিতে ১৭ ও আরেকটিতে ১৩ জন আসামি। দুটিতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এছাড়া ২৩ সেনা কর্মকর্তার ১৫ জনই হেফাজতে রয়েছেন।
কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে কর্মরত। একজন এলপিআরে রয়েছেন। তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এলপিআর)। র্যাবের্যা গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম। এছাড়া রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী।