পাকিস্তানের হামলা, ভারতের বিভিন্ন শহরে ব্ল্যাকআউটআজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়াসাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা জানাল ইইউভারতে ২৪টি বিমানবন্দর বেসামরিক সেবার জন্য বন্ধ ঘোষণা
No icon

শেয়ারবাজারে এক যুগে সর্বোচ্চ পতন

ব্যাপক দর পতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। গতকাল বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৩ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৮১টিই দর হারিয়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ হারিয়ে ৪৮০২ পয়েন্টে নেমেছে। হার বিবেচনায় গতকালের পতন ২০১৩ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতেও দর পতন হয়েছে।দর পতনের পেছনে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ। গতকাল পাকিস্তানের শেয়ারবাজারেও বড় দর পতন হয়েছে। ভারতের শেয়ারবাজারে শুরুর দিকে পতন হলেও শেষ পর্যন্ত সূচক সামান্য বেড়েছে। বিশ্বের অন্য কোনো শেয়ারবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। নানা কারণে আস্থাহীনতায় ক্রমাগত দর পতনের ধারায় ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের বাজার।দেশের শেয়ারবাজারে খারাপ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগামী রোববার এ বৈঠক হবে। গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) এ সভা আহ্বান করে।

গতকাল দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুই হয় দর পতনে। প্রথম ১৫ মিনিটেই প্রায় সব শেয়ার দর হারায়। মাত্র ৫ মিনিটে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্ট হারায়। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় সবার মধ্যে। এর ১৩ মিনিট পর আরও প্রায় ৪৪ পয়েন্টসহ ৯৪ পয়েন্ট হারায়। এরপর সামান্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত প্রায় সব শেয়ারের দর পতনে ডিএসইএক্স ১৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮০২ পয়েন্টে নামে। সূচকের অবস্থান ২০২০ সালের ২৫ আগস্টের পর সর্বনিম্ন।ব্রোকারেজ হাউস প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গতকালের লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের বাইরে অন্য কোনো নেতিবাচক খবর ছিল না। তাই সবাই এটিকে দর পতনের কারণ বলে মনে করছেন। এর বাইরে অন্য কোনো ব্যাখ্যাও নেই।রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে পড়েছিল। তবে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থার প্রভাব ওই যুদ্ধের মতো নয়। তাঁর মতে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা রয়েছে, যা বড় আকারে প্রতিফলিত হয়েছে।

অল্প বিক্রিতেই বড় পতন

গতকালের লেনদেনের শুরুর প্রথম ১৫ মিনিটে প্রায় ৯০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি নামে একটি স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণই ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকার। এ শেয়ারের দর পতনে সূচকে তেমন কোনো প্রভাবই ছিল না। সূচকে বড় প্রভাব ছিল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন, বিএটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোনসহ বৃহৎ বাজার মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দর পতন।