ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’বিজয়ের মাস শুরুসেন্টমার্টিনে আজ থেকে করা যাবে রাতযাপনস্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি ১১ ডিসেম্বরনবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মাউশির সামনে বিক্ষোভ
No icon

বিজয়ের মাস শুরু

ডিসেম্বরের প্রথম দিন আজ।শুরু হলো আমাদের বিজয়ের মাস। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ মাসেই জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ধরা দেয় হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে এ জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। এ মাসেই পূরণ হয় বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ। বছর ঘুরে আবার এসেছে সেই বিজয়ের মাস।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ডাক দিয়েছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঐতিহাসিক সেই ভাষণে উদ্দীপ্ত জাতি প্রস্তুতি নিতে স্বাধীনতা অর্জনে লড়াই শুরুর। ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক বাহ

িনী এ দেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, অপারেশন সার্চ লাইটের নামে শুরু করে গণহত্যা। পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় বেঘোরে প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ ।আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদারদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে জাতি। দেশজুড়ে তৈরি হয় ভয়াবহ অরাজকতা ও রাজনৈতিক শূন্যতা। বাঙালির এই দুঃসময়ে জীবনবাজি রেখে এগিয়ে আসেন অচেনা ও অখ্যাত এক মেজর। চট্টগ্রামে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মেজর জিয়াউর রহমানা স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বেলিত জনগণ সাহসের সঙ্গে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।জন্মভূমিকে বাঁচানোর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের শহীদ হওয়া এবং দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি দেখা পায় তার পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তবে সেই আনন্দের ক্ষণেই ঘনিয়ে ওঠে এক অভুতপূর্ব শোক। এ দেশীয় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সহায়তায় চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি সেনারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লেখক, শিক্ষক, শিল্পীসহ জাতির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের অনেককে। ডিসেম্বর তাই বাঙালি জাতির জন্য যুগপৎ অশ্রুও উৎসবের মাস।