দূষিত শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকাপাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদকরিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ মহান মে দিবস আজআমরা এমন বাজেট দিবো যা হবে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
No icon

ময়মনসিংহে দুই উপজেলার ৮০ গ্রাম প্লাবিত

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার অন্তত ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ। ডুবে গেছে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির ফসল।জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হালুয়াঘাট সীমান্তবর্তী চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উপচে দর্শা, মেনংছড়া, বোরারঘাট ও শেওলা নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাতেই বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। এমন ৩০টি পরিবারের তথ্য পেয়েছি। তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল জানান, দুটি উপজেলায় অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেসব জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।এদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। এতে ডুবছে নিম্নাঞ্চল। পাশাপাশি বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন অনেকে।