লংমার্চে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত করার ঘোষণাবিজয় দিবসে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তাউত্তরে ঘন কুয়াশা, জেঁকে বসছে শীতজুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাস পরিবর্তনের ‘নায়িকা’: ড. ইউনূস
No icon

প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে হবে

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে ৮ আগস্ট রাতে। ১৮ দিনের মাথায় গত রোববার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দিয়েছেন। একে একটি অসাধারণ ও পরিপূর্ণ ভাষণ হিসেবে সহজেই অভিহিত করা যায়। ছাত্র-জনতার বিপ্লব, তাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, স্বৈরাচারের রাষ্ট্র ধ্বংসের বিবরণ, স্বপ্নের বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা, সরকারেরর কর্মলক্ষ্য ও উদ্যোগ, তার মেয়াদকাল, নির্বাচন, বৈদেশিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা ইত্যাদি নানান বিষয় ভাষণে উঠে এসেছে। শুরুতেই তিনি ছাত্র-গণবিপ্লবে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের স্মরণ করছেন। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় হতাহতদের কথা উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রসঙ্গ এসেছে এবং তিনি বলেছেন: ‘বিপ্লবী ছাত্র-জনতা জাতির এ ক্রান্তিকালে আমাকে এক গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তারা নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে চায়। নতুন প্রজন্মের এ গভীর আকাক্সক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার সংগ্রামে আমি একজন সহযোদ্ধা হিসেবে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি।’ তিনি এ সংগ্রামে সকল বয়সের, পেশার, ধর্মের মানুষের বিনাদ্বিধায় যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, নয় মাসের সশস্ত্র লড়াই ও লাখ লাখ শহীদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসন ধ্বংস করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ছাত্র-গণবিপ্লবে যে পরিবর্তন এসেছে, তাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে অভিহিত করা হয়েছে। ড. ইউনূস তার ভাষণে বিচারবিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতির শোচনীয় অবস্থার কথা বলেছেন এবং এসব সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন: ‘ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধানের দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই। সেখানে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটাই; উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা এক পরিবার। আমাদের এক লক্ষ্য। কোনো ভেদাভেদ যেন আমাদের স্বপ্নকে ব্যহত করতে না পারে। সেজন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ ছাত্র-জনতার আকাক্সিক্ষত বাংলাদেশের পথনকশা তার এ বক্তব্যের মধ্যে ফুটে উঠেছে। এই পথনকশার বাস্তবায়ন সহজসাধ্য নয়, অত্যন্ত দূরূহ। এজন্য পর্যাপ্ত সময় দরকার, গণ ও রাজনৈতিক সমর্থন দরকার, আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও আবশ্যক। ড. ইউনূস এমন এক ব্যক্তি, দেশে যার সর্বজনমান্যতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। তার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ও খ্যাতিমান। তার এই টিম আকাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম, এ আস্থা দেশবাসীর আছে।