রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে তৈরি পোশাক খাতঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহপ্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশুস্কুল-মাদ্রাসা খুলছে আজ, বন্ধ থাকছে ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানআজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
No icon

৩০০ আসনে প্রার্থী জাতীয় পার্টির

জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন দলটিতে। আজ বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে গতকাল বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, সঠিকভাবে যদি ভোট হয় আমরা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। আমরা জোট, মহাজোট ইত্যাদি করতে চাই না। সঠিকভাবে ভোট হলে আমরা যদি একটি আসনও না পাই কোনো আপত্তি নেই। যে দল আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠন করবে, আমরা তাদের সহযোগিতা করব।জানা গেছে, পার্টির বনানী কার্যালয়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও গ্রহণ করা হবে। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে প্রতিদিন দুই বিভাগ করে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২৪ নভেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, ২৫ নভেম্বর খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, ২৬ নভেম্বর ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ, ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ। ২৮ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সব স্তরের নেতাদের বকেয়া মাসিক চাঁদা পরিশোধ করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এবার মনোনয়ন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

জানা যায়, শনিবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করার কথা জানান রওশন এরশাদ। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলের মনোনয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নমুনা সই ইসিতে জমা দিয়েছেন জি এম কাদের। তবে কোন চিঠি ইসি আমলে নেবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক সংস্থাটি। রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। তবে রওশন এরশাদের অনুসারীরা কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশ নেবেন বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে তাদের। কারণ, নির্বাচনি প্রতীক দেবেন জি এম কাদের।  পার্টির চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ অনুসারীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন না।দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জি এম কাদের নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে পার্টির একটি বড় অংশ নির্বাচনে চলে যেত। যদিও বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করে আসছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় মাঠপর্যায়ের ৫৯ জন নেতা বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে দুজন ছাড়া বাকি সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমান অবস্থায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। সভায় সমাপনী বক্তব্যে জি এম কাদের উভয়মুখী চাপের কথা বলেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়ার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি। অবশ্য মাঠপর্যায়ের বেশির ভাগ নেতা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দিলেও দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য নির্বাচনে যেতে চান। এরই মধ্যে দলীয় প্রধানকে না জানিয়ে দুই দফায় জাপার ১৭ জন এমপি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনের কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এটাকে নির্বাচন সামনে রেখে দলে বিশৃঙ্খলার আভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আসন ভাগাভাগির চেষ্টা চালিয়ে যাবে জাতীয় পার্টি।