দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মেসেঞ্জার লাইট

মোবাইল ডাটা ও স্টোরেজ বাঁচাতে ২০১৬ সালে মেসেঞ্জোর লাইট চালু করে মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা। সাধারণ মেসেঞ্জার ব্যবহারে বেশি ইন্টারনেট বা ডাটা ব্যবহারের যে সমস্য ছিল লাইট ভার্সন সেখান থেকে ব্যবহারকারীদের মুক্তি দিয়েছে। তবে শিগগিরই হয়তো অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। সেপ্টেম্বর নাগাদ অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।কী কারণে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্ম থেকে মেসেঞ্জার লাইট সরিয়ে দেয়া হবে সে বিষয়ে মেটার কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি। কোম্পানির কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার দাবিতে কয়েকজন ব্যবহারকারী জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সার্বিক কার্যক্রম ও লাইট অ্যাপ সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানিয়েছে মেটা। অনলাইনে মেটার এ সিদ্ধান্তর বিষয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। অনেক ব্যবহারকারীর মতে, এটি কোম্পানির ইতিবাচক কোনো উদ্যোগ না।ব্যবহারকারীরা জানান, ডিভাইসের ডাটা ও স্টোরেজ সংরক্ষণের যে মেসেঞ্জার লাইট ব্যবহার করা হয়েছে তা নয়। মূলত মূল অ্যাপে থাকা অতিরিক্ত ফিচার থেকে দূরে থাকতেই তারা লাইট অ্যাপ ব্যবহার করেছেন।

সম্প্রতি মেটা ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানো বার্তায় শুধু ১৮ সেপ্টেম্বর লাইট অ্যাপ বন্ধ করে দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে তা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। গুগল প্লেস্টোর থেকেও মেসেঞ্জার লাইট ডাউনলোড করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন অনেকে। এর অর্থ হচ্ছে মেটা হয়তো এরই মধ্যে অ্যাপটি সরিয়ে নিয়েছে।২০১৬ সালের অক্টোবরে উন্মোচনের পর মেসেঞ্জার লাইট অনলাইন প্লাটফর্মে ভালো সাড়া পেয়েছিল। প্রথমত এটি দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবিধা দিত, এছাড়া পুরনো স্মার্টফোনে অ্যাপটি ব্যবহার করা যেত। অ্যাপলের ফোনের জন্যও মেসেঞ্জার লাইট চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে মেটা সেটি বন্ধ করে দেয়।স্মার্টফোনের ডেটা বিশ্লেষক কোম্পানি ডেটাডটএআইয়ের পরিসংখ্যান বলছে, পুরো বিশ্বে এই অ্যাপ প্রায় ৭৬ কোটিবার ডাউনলোড হয়েছে। এর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় রয়েছে ৮ নম্বরে।