কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহতরাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি, আফিসগামীদের ভোগান্তিগাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহতদুপুরের মধ্যে ১১ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কাঈদযাত্রার শুরুতেই ভোগান্তি
No icon

আজ জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিলের রায়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ের জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ১ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মামলাটি।এর আগে, ১৪ মে চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করা হয়েছিল। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।শুনানির দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। রিটে নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানানো হয়। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি হয়ে অবসর) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। এরপর জামায়াত একাধিকবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় এবং দলের নাম পরিবর্তন করে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাখে।

২০১৩ সালের ১২ জুন রুলের শুনানি শেষ হয়। ১ আগস্ট হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদত্যাগ করেন) এবং বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক (গত বছরের ১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন)। সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয় এই নিবন্ধন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে অবসর) একই বছরের ৫ আগস্ট জামায়াতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেন। ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন। ওই দিন রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এবং আহসানুল করীম। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান।২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার পুনর্নির্বাচিত হয়। জুলাই থেকে কোটাবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয়, যা সরকার পতনের দাবি পর্যন্ত গড়ায়। এরপর ১ আগস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ বাতিলের উদ্যোগ নেয়। ২৮ আগস্ট সরকার সেই নিষিদ্ধ আদেশ প্রত্যাহার করে। এরপর জামায়াত আপিল বিভাগে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করে। আদালত ২২ অক্টোবর বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি পুনরুজ্জীবন (রিস্টোর) করেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১৪ মে।