এনসিপির সঙ্গে গণঅধিকারের একীভূত হওয়া নিয়ে জটিলতাগাজা শহর ত্যাগের নির্দেশ জারি, কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমান হামলাছুটির দিনের সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিগভীর নিম্নচাপে টানা বৃষ্টি, জনদুর্ভোগবৃষ্টির কারণে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি
No icon

জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গ মারা গেছেন

জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে ভয়াবহ এক স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, দুর্ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা আর বাঁচাতে পারেননি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

নর্থ-ইস্ট উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন আসামের এই গায়ক। আজকের অনুষ্ঠানে তাঁর মঞ্চে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই মৃত্যুসংবাদ গোটা ভারতকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে।

জুবিন গার্গ শুধু গায়কই নন, তিনি ছিলেন সুরকার, অভিনেতা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সাংস্কৃতিক মুখপাত্র। দেশজুড়ে তাঁর ভক্ত ও সহশিল্পীরা শোক জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভরে গেছে শ্রদ্ধা ও সমবেদনায়।

১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম নেওয়া জুবিন ছিলেন একাধারে গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে যুব মহোৎসবে পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক জয়ের পর তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। একই বছরে অসমিয়া অ্যালবাম অনামিকা মুক্তির মাধ্যমে পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন তিনি।

জুবিনের উল্লেখযোগ্য হিন্দি গান ও চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ইয়া আলী (গ্যাংস্টার, ২০০৬), সপনে সারেহোলি রেডলি সাজা কে রাখাফিজাকান্তে ইত্যাদি। ২০০৩ সালে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন এবং গান ও সুরকার হিসেবে মনশুধু তুমিপ্রেমীচিরদিনি তুমি যে আমারমন মানে নারোমিও, জাই জোলিয়া রে ও পাগলী তোরে রাখবো আদরে চলচ্চিত্রে কাজ করেন।

জুবিন গার্গের অন্যতম উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলো ইয়া আলী গান, যার জন্য তিনি GIFA অ্যাওয়ার্ড পান। তাঁর সঙ্গীত জীবনের অবদান অসম সংস্কৃতির জন্য অমর হয়ে থাকবে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শোক প্রকাশ করে টুইট করেন, “আজ অসমের একজন প্রিয় সন্তানকে হারাল। জুবিনের কণ্ঠ মানুষের মনকে ছুঁয়ে যেত এবং তার সঙ্গীত আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে অমর হয়ে থাকবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে মনে রাখবে।”