হিমালয়কন্যা খ্যাত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে।এর আগে বুধবার (১২ নভেম্বর) ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আর মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত গত এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ে ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠা নামা করছে।উত্তরাঞ্চলের এই জেলাটিতে প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। এতে করে জেঁকে বসছে শীত। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা।অপরদিকে তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোশকের দোকানে।
পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ পিঠার স্বাদ উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। তবে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ক্রমশই কমছে। এই নভেম্বরের শেষে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।তিনি জানান, আকাশে মেঘ নেই, রাতে ঘন কুয়াশা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। দিনে রোদের কারণে কিছুটা উষ্ণতা বাড়ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে পঞ্চগড়ে দিনের তাপমাত্রা দিন দিন কমতে থাকবে। আর চলতি মাসের শেষ সময় থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।