ডেঙ্গুতে সারা দেশে চলতি বছর ঝরতে পারে ৪০ হাজার প্রাণ থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রীহিট অ্যালার্টেও স্কুল, নগণ্য উপস্থিতির অনেকে অসুস্থদুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
No icon

নির্বাচন প্রতিহত করতে দুই ধাপে কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপির

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে এবার আন্দোলন ভিন্ন মাত্রায় নিতে চায় বিএনপি। নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে দুই ভাগে বিভক্ত করে পরিকল্পনা সাজিয়েছে দলটি। নির্বাচনী তপশিল ঘিরে নেওয়া হয়েছে এ কৌশল। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তপশিল প্রত্যাহারের আগে প্রথম ধাপ এবং প্রত্যাহারের পরদিন ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম ধাপ গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি হবে ডু অর ডাই কর্মসূচি ।দলটির হাইকমান্ড মনে করছে, আন্দোলন সফল করতে জনমত পক্ষে রাখা, কূটনৈতিক তৎপরতা ও সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শেষ পর্যায়ে সমমনা সব দলকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টাও করা হবে। কিংস পার্টিতে বিএনপি নেতাকর্মী টানার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের নেতাকর্মীর। তাই এখন রাজপথের আন্দোলনে মনোযোগ তাদের।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় জনগণের ভোটাধিকার হরণের সব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তবে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক দল চূড়ান্ত আন্দোলনে শামিল হয়ে সব অপচেষ্টা বানচাল করে দেবে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। গণতন্ত্রকামী বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জেলজুলুম চালিয়ে এবার শেষ রক্ষা হবে না।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর সারাদেশে যে ধরপাকড় শুরু হয়েছে, সেই ধাক্কা বিএনপি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। বাড়িঘরে তল্লাশি ও মামলা-হামলার ভীতি এখন আর তেমন প্রভাব ফেলছে না। সাহস নিয়ে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে আসছেন, রাজপথে উপস্থিতি বাড়ছে। যেসব জেলায় এতদিন কোনো কর্মসূচি পালন হয়নি, সেখানেও অল্পবিস্তর মিছিল-পিকেটিং হচ্ছে।

এই গতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ফলে সামনের আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পাবে। একেবারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীকে মাঠে নামানোর ব্যবস্থা নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। আন্দোলনে উপস্থিত থাকতে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনাও গেছে। সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি আদায়ের ফয়সালা রাজপথেই করতে হবে; গ্রেপ্তার হলে রাজপথ থেকেই হতে হবে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব বিভাগে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি জেলা, মহানগর, থানা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্দেশনা দেবে। যেসব সাংগঠনিক ইউনিট ঢিলেঢালা অবস্থায় থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে অনেক ইউনিট কমিটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন। অনেক কমিটিই বিলুপ্ত করে নতুনভাবে যোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক কমিটিতে নিষ্ক্রিয় নেতাকে সরিয়ে সক্রিয়দের সামনে আনা হয়েছে।নতুন এই আন্দোলনে খুলনা বিভাগ সমন্বয়ের দায়িত্ব পাওয়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সহসভাপতি বলেন, এই বিভাগে নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। পুলিশের ধরপাকড় ও আওয়ামী লীগের হামলায় তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাদের সবাইকে এলাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।