শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে কক্সবাজারের রেলপথ অনিরাপদএফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশ
No icon

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চাপ বাড়ছে

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চাপ বাড়ছে। প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদেও। এ ছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে।গত বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের দুইজন সংসদ সদস্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি করেন। সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা এতে খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক।সরকারি দলের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এডুকেশন ওয়াচের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৬ শতাংশ অভিভাবক ও ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দ্রুত স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ৫৮ শতাংশ শিক্ষক ও ৫২ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ৮০ শতাংশ এনজিও কর্মকর্তা একই মত দিয়েছেন। ৮২ শতাংশ শিক্ষক স্কুল খুলে দেওয়ার আগে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রতিবেদনের সুপারিশে তাঁরা ধাপে ধাপে বিদ্যালয় খোলার কথা বলেছেন। প্রথমে করোনার সংক্রমণ কম এলাকায় স্কুল খোলার কথা বলেছেন। এরপর মার্চ মাস থেকে বড় শহরের স্কুলগুলো খোলার কথা বলেছেন।জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে দুই মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল রাতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসংক্রান্ত গাইডলাইন পাঠিয়েছে।করোনার কারণে স্কুলের কার্যক্রম আরো এক বছর ব্যাহত হলে সে ক্ষতির ভার শিশুরা বইতে পারবে না বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। এ ছাড়া বর্তমান সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছুই অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই চলছে। এমনকি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না গেলেও নিয়মিতই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।