আবুধাবিতে প্রবেশ করতে না পেরে ফেরত আসা ৬৮ বাংলাদেশি কর্মীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আবারও পাঠানো হবে। ফেরত আসার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটি পাঁচদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। বাকি প্রবাসী কর্মীদের যারা আগে বুকিং দিয়েছেন তারা বিদেশ ফিরতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সের টিকেটের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে বেসসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে (বেবিচক)।সোমবার প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রবাসী কর্মীদের বিদেশে গমণ প্রক্রিয়া সহজীকরণে জরুরি অনলাইন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এবসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদেশ গমনেচ্ছু এবং দেশে ফিরতে ইচ্ছুক যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফ্লাইট বাড়ানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় সভায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
গত রোববার ৭৩ বাংলাদেশিকে নিয়ে এয়ার আরাবিয়া ও বিমানের ফ্লাইট আবুধাবি যায়। আরব আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এয়রারলাইন্সগুলোকে যাত্রী পরিবহনে আবুধাবি ইমিগ্রেনে আগাম যাত্রী তথ্য (এপিআই) দিতে হয়। কিন্তু বিমানের ফ্লাইটে যাওয়া যাত্রীদের এপিআই না দেওয়ায় তাদের প্রবেশ করতে দেয়নি আবুধাবি ইমিগ্রেশন। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজনের স্পন্সর বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ায় তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। বাকিদের ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফিরে সোমবার বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেন তারা।প্রবাসী কল্যালমন্ত্রী বলেছেন, গন্তব্য দেশের চাহিদা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ কর্মীদের বিদেশ গমনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রবাসী কর্মীরা যাতে সহনশীল পর্যায়ের ভাড়ায় বিদেশ ফিরতে পারেন সে দিকে নজর রাখতে হবে।সভায় যোগ দেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মো. আবু জাফর প্রমুখ।
